সুখী দাম্পত্যের সূত্রাবলী
সম্পর্ক সবসময় মধুর হয় না! দাম্পট্য জীবনে ঝগড়া বিবেদ থাকবেই সংসারের হিসেবের খাতার মতোই পানসেও হতে পারে তবু হাতে হাত রেখে চলতে হবে সারাটি জীবন!
এই মনোভাব নিয়েই শুরু করুন প্রতিটি দিন!মনে রাখবেন ডিভোর্স কখনোই কোনো অপশন নয়!সম্পর্ক সুমধুর করার দায়িত্ব এবং ক্ষমতা আপনারই
১. দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝে ভালোবাসার প্রকাশটি সবসময়ই জরুরি। এজন্য দামি কোনো গিফট দেয়াই বড় কথা নয়। বরং আপনার সানি্নধ্য আর সঙ্গীকে চমকে দেয়ার মতো যে কোনো কিছুই হতে পারে ভালোবাসার ভিন্ন এক বার্তা
২. সম্পর্কের মাঝে যেন কোনো একঘেয়েমি চলে না আসে সেজন্য মাঝে মাঝে নিজেদের শেয়ারিংগুলোতে নতুনত্ব আনা উচিত। উদাহরণস্বরূপ সপ্তাহের ছয়দিন যেখানে কাজের চাপে স্ত্রীকে ফোন করার কথা ভুলে যান সেখানে মাঝে মাঝে একটা দিন কষ্ট করে হলেও নিয়মের বাইরে তাকে বেশি বেশি ফোন দেয়ার চেষ্টা করুন। অথবা কর্মব্যস্ত দিনে অফিস ম্যানেজ করে আগেভাগে বাড়ি এসে তাকে নিয়ে চলে যান সারপ্রাইজ কোনো ট্রিপে।
৩. আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোন বিষয়টি পছন্দ করেন আর কোনগুলো করেন না সেগুলো ভালো করে জেনে নিন।
৪. বিয়ে বার্ষিকী, জন্মদিন ইত্যাদি নিয়মিত উপলক্ষের বাইরে হঠাৎ হঠাৎ উপহার দিয়ে কিংবা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করে প্রিয় মানুষটিকে চমকে দিন।
৫. সপ্তাহের ছয়দিন কাজের পর ছুটির দিনটিকে আলসেমিতে নষ্ট না করে এ দিনটিতে নিজেদের সম্পর্কের জন্য বাড়তি কিছুটা সময় দেয়ার চেষ্টা করুন।
৬. পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং নিজের কোনো ভুল হলে তা অকপটে স্বীকার করে নিন। সেই সাথে অন্যের ভুলকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবার অভ্যাসও গড়ে তুলুন।
৭. সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীর ভুল ধরার অপেক্ষায় বসে না থেকে তার ভুলগুলো যতোটা সম্ভব ভালোবাসা দিয়ে শুধরে দেয়ার চেষ্টা করুন।
৮. অন্য কারো সম্পর্ক বা অতীত কোনো সময়ের সাথে তুলনা দিয়ে বর্তমানের সম্পর্কটিকে খাটো করবেন না। নিজের ইচ্ছাগুলো যেমন সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলবেন তেমনি তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার গুরুত্বও দিতে শিখুন।
৯. সমস্যা ঘনীভূত হবার আগেই সেটিকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসুন।
১০. কোনো বিশেষ দিনে তার কাছের মানুষদের একত্রে ডেকে ঘরোয়া আয়োজনের চেষ্টা করুন।
১১. তার পছন্দের গান ছেড়ে শুরু করতে পারেন সকাল বেলাটা।ঘুম থেকে উঠেই প্রিয় গান শুনে নিশ্চয় ভালো হয়ে থাকবে তার মন।
১২.মাঝে মাঝে আগের দিনের মতো বা প্রেম করে বিয়ে করে থাকলে আগের সময়ে মতো কোনো মজাদার কিছু করুন।সাধারণত বিয়ের পর সম্পর্কগুলো একঘেয়ে হয়ে যায়।
১৩. চিঠি বা নোটের ব্যবহার করুন! ভাবুন তো! আপনার সঙ্গীটি দূরে কোথাও ভ্রমনে যাচ্ছে ফোন করে সব ঠিকঠাক মতো চলার কথা বলার চেয়ে যদি তিনি ব্যাগ খুলে তারপর প্রতিটি কাপড়ের ভাজে ভাজে একটা করে চিঠি পান!কেমন লাগবে!!
জীবনসঙ্গীর ওপর বিশ্বাস না হারিয়ে তাকে প্রাণখুলে ভালোবাসতে শিখুন এবং ভালোবাসার বন্ধনেই তাকে দাম্পত্য সম্পর্কে বেঁধে রাখুন।
[ ভাল লাগলে পোস্ট এ অবশ্যই লাইক দিবেন , লাইক দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই লাইক দিবেন । ]
Leave a comment