শাহজাহান-মমতাজমহলের দাম্পত্য জীবন
মোগল সম্রাট শাহজাহান সম্রাজ্ঞী মমতাজমহলের প্রতি নিখাদ অনুরাগ পোষণ করতেন। শাহজাহান ও মমতাজমহল পরস্পরের প্রতি নিবিড় ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকলেও তাদের বিবাহিত জীবন ছিল ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ। সম্রাট জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রাজপুত্র শাহজাহান বিদ্রোহ করেছিলেন। ফলে তাকে নানা দুর্গম স্থানে ছুটতে হয়েছে, যুদ্ধের ময়দানে লড়তে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে পালাতে হয়েছে। আর সবক্ষেত্রেই মমতাজমহল তাকে ছায়ার মতো সঙ্গ দিয়েছেন, তাকে উদ্দীপ্ত রেখেছেন। নীরবে সব যাতনা সহ্য করেছেন। তবুও ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে একদিনের জন্য স্বামীকে ছেড়ে অন্য কোথায়ও থাকেননি। একসময় সবকিছুরই অবসান ঘটে। জাহাঙ্গীরের ইন্তেকালের পর শাহজাহান হন ভারতবর্ষের সম্রাট। কিন্তু রাজকীয় সুখ মমতাজমহলের ভাগ্যে ছিল না। শাহজাহানের সিংহাসনে আরোহণের মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি ইন্তেকাল করেন। প্রিয়তমার ইন্তেকালে শাহজাহান শোকে ভেঙে পড়েন। তিনি এতো শোকাভিভূত হয়েছিলেন যে, রাতারাতি তার (এ সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৮ বছর) সব চুল সাদা হয়ে গিয়েছিল। দু’বছর পর্যন্ত তিনি ভালো খাবার, পোশাক, সংগীত থেকে দূরে থেকেছেন, সব ধরনের আনন্দ বিলাসিতা বর্জন করেছিলেন। তাজমহল নির্মাণের কাজে হাত দেওয়ার পর থেকে তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকেন। বলা হয়ে থাকে, তাজমহলের নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল দুঃখের সময়। তাই তাজ হলো বেদনার এক স্মারক।মমতাজমহল ইন্তেকাল করেন ১৬৩১ সালে। তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ সালে। আর শেষ হয়েছিল ১৬৪৮ সালের দিকে। ১৬৩২ সালের দিকেই মূল কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য অংশ তৈরি হয়ে যায় ১৬৪৩ সালের দিকে। তবে ১৬৪৮ সাল পর্যন্ত ডেকোরেশন চলতে থাকে। জীবনের শেষ দিনগুলোতে শাহজাহান মাইল খানেক দূরে অবস্থিত শীষমহলের কাঁচঘেরা কক্ষে বসে সর্বক্ষণ তাকিয়ে থাকতেন তাজমহলের দিকে। শাহজাহান ১৬৫৮ সালে অন্তরীণ হন এবং ১৬৬৬ সালে ইন্তেকাল করেন।
আপনি কি তাজমহল সম্পর্কে নিন্মোক্ত তথ্য গুলো জানেন:
১ তাজমহল তৈরী হয় মমতাজের জন্য কিন্তু সম্রাজ্ঞী মমতাজ ছিলেন শাজাহানের ৭ বিবির মধ্যে চতুর্থ
২ মমতাজ কে বিয়ের জন্য শাজাহান তার পূর্বের স্বামীকে হত্যা করে
৩ মমতাজ তার ১৪তম সন্তান জন্মদানের সময় মৃত্যুবরন করে
৪ এরপর শাজাহান মমতাজের ছোটবোন কে বিয়ে করেন
এখন আপনিই বলুন এতসবের মাঝে ভালোবাসা টা কোন জায়গায় ?
Leave a comment