ল্যাপটপ অনিদ্রার ঝুঁকি বাড়ায়
ঘুমানোর আগে ল্যাপটপের ব্যবহার ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার ঝুঁকি বাড়ায়। ঘুমাতে যাবার কমপক্ষে দুইঘন্টা আগেই ল্যাপটপ বন্ধ করা উচিৎ।
ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে যে উজ্জ্বল আলো বের হয়, তা মানুষের মস্তিষ্ক এবং ঘুমের নিয়মে বিভ্রান্তি তৈরি করে। কেবল ল্যাপটপ নয়, বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসও মনে বিভ্রান্তি তৈরি করে। এমনকি দিনের বেলাতেও এ বিভ্রান্তি দূর হয় না।
ফলে ঘুমহীন সময় কাটানোই একসময় ইনসমেনিয়ার রূপ নেয়।
শরীরে প্রাকৃতিক ঘড়ির জানালা রাত ৯ থেকে ১০ টার মধ্যে বন্ধ হতে শুরু করে। কিন্তু এসময় কম্পিউটার ব্যবহার মনকে বিভ্রান্ত করে তোলে। একজন মানুষের মস্তিষ্ক প্রাকৃতিকভাবে সূর্য ওঠার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলে। সূর্যের উজ্জ্বল কিরণে মস্তিষ্ক জেগে ওঠে এবং মেলাটিন নামের হরমোন নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়। মেলাটিন হরমোন রাতের বেলা ঘুম আনার জন্য কাজ করে।
আইপ্যাডের মতো ডিভাইস থেকে বের হওয়া নীল রঙের আলো মস্তিষ্কের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মস্তিষ্ক যখন ঘুমানোর জন্য অন্ধকার চায়, তখন স্ক্রিনের এ নীল আলো বিভ্রান্ত করে দিতে পারে মস্তিষ্ককে। মানুষের চোখ নীল আলোতে অনেক বেশি সংবেদনশীল থাকে। বলা হচ্ছে, দিনের বেলা এ আলো সহনীয় হলেও রাতের জন্য নয়।
শোবার ঘরে টেলিভিশন চললেও ঘুমের খুব বেশি ব্যাঘাত ঘটে না, যতোটুকু ল্যাপটপ ব্যবহারে ফলে ঘটে। কারণ টেলিভিশনে বিম লাইট ব্যবহার করা হয় না; আর আমরা টেলিভিশন খুবই কাছে থেকেও দেখি না, যতোখানি কাছে থাকে ল্যাপটপ।
[ ভাল লাগলে পোস্ট এ অবশ্যই লাইক দিবেন , লাইক দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই লাইক দিবেন । ]
Leave a comment