• hi

কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে কামরাঙ্গা

hi

বিভিন্ন মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানা গেছে কামরাঙ্গা ফলের রস খেলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। দেশীয় সুস্বাদু ফল কামরাঙ্গার প্রতি লোভ আছে অনেকেরই। বিশেষ করে মহিলারা টক-মিষ্টি এ ফলের প্রতি প্রচণ্ডভাবে দুর্বল। কিন্তু এ কামরাঙ্গাই জীবনের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এ্যাপোলো হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. গুলশান কুমার মুখিয়া জানান, কামরাঙ্গা একটি অক্সালেটসমৃদ্ধ ফল, যা কারো কিডনি ফেইলিয়র ও স্বল্প পরিমাণ প্রস্রাব নির্গমনের কারণ হতে পারে। বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। কামরাঙ্গা খাওয়ার পর এই ধরনের স্বল্প পরিমাণ প্রস্রাব নির্গমনের সমস্যা দেখা দিলে ওই রোগীকে দ্রম্নত একজন কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ বা নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নেয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. মুখিয়া বলেন, যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত স্থূলতা ও কিডনি রোগের ঝুঁকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনিজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কামরাঙ্গা ফল না খাওয়াই উত্তম।

এ্যাপোলো হাসপাতাল সূত্র জানায়, সম্প্রতি পঞ্চাশোর্ধ একজন সুস্থ-সবল ব্যক্তি কামরাঙ্গার ৩০০ মিলিগ্রাম জুস খালিপেটে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অস্বসত্দিবোধ, বমিবমি ভাব এবং পেটে ব্যথা নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। কামরাঙ্গার রস পান করার চারদিন পর তার প্রস্রাবের পরিমাণ অত্যধিক কমে যায় এবং কিডনির অকার্যকারিতা দেখা দেয়। পরে আরো ভালো চিকিৎসা এবং পর্যবেৰণের জন্য এই রোগী এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। নেফ্রোলজি কনসালটেন্ট ডা. গুলশান কুমার মুখিয়া তাকে কিডনি বায়োপ্সি করার পরামর্শ দেন। এই হিস্টোপ্যাথলজি পরীৰায় প্রচুর পরিমাণ রংবিহীন ৰুদ্রাকৃতির অক্সালেট স্ফটিক কনিকা পাওয়া যায়। যেহেতু রোগীর অতি স্বল্প পরিমাণ প্রস্রাব নির্গত হচ্ছিল এবং বুকে জমাট বেধে কষ্ট হচ্ছিল সেজন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার্থে দুইবার হেমো-ডায়ালাইসিস দেয়া হয়। কিডনি ফেইলিয়র হওয়ার ২০ দিনের মাথায় তার কিডনির কার্যৰমতা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

[ ভাল লাগলে পোস্ট এ  অবশ্যই লাইক দিবেন , লাইক দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই লাইক দিবেন । ]


Leave a comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।


*


hi
online partners namaj.info bd news update 24 Add

Read previous post:
মৌমাছির হুল ফুটিয়ে রোগ নিরাময়!

মৌমাছির কামড় খেয়ে সাধারণত মানুষ হাসপাতালে দৌড়ায়। কিন্তু বেজিংয়ের একটি ক্লিনিকে এ চিত্র ভিন্ন। সেখানে রোগ সারানোর জন্য মৌমাছির হুল...

Close