আট বছরে জুকারবার্গের ১৭ বিলিয়ন ডলার
কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে আসছে ফেসবুকের শেয়ার। আর এই শেয়ার বাজারে ছাড়ার মাধ্যমে ২৭ বছর বয়সী মার্ক জুকারবার্গ পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তিতে এবং তার প্রতিষ্ঠান ফেসবুক যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দামী সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে পরিণত হবে। আর জুকারবার্গের পকেটে যাবে ১৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা মাইক্রোসফটের স্টিভ বালমার কিংবা রাশিয়ান স্টিল শিল্পপতি ভ্লাদিমির লিসিনের সম্পদের চেয়ে পরিমাণে বেশি। স্টিভ বালমারের বর্তমান সম্পদ রয়েছে ১৫.৪ বিলিয়ন ডলার। তবে পার্থক্য হচ্ছে বাকি দুজনের বয়সের প্রায় অর্ধেক বয়সী জুকারবার্গ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন আশ্চর্য প্রতিভায়।নতুন পণ্য দ্রুত পরিচিত করার একটি গুন জুকারবার্গের রয়েছে সেটা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন। আর সে কারণেই এক সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট মাইস্পেসকে পেছনে ফেলতে পেরেছে ফেসবুক। টুইটার, গুগল প্লাস সহ প্রভাবশালী সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো শত চেষ্টা করেও ছাড়িয়ে যেতে পারছেনা ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে।
১৯ বছর বয়সী জুকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ছাত্রাবাসের কক্ষে বসে শুরু করেছিলেন ফেসবুকের কাজ। তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১৯ বছর। আর আজ সেই ফেসবুক ব্যবহার করছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ৯০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। এতদূর পর্যন্ত একটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটকে টেনে নিয়ে আসার পর এখন সেটাকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার সময় এবং সুযোগ এসেছে জুকারবার্গের হাতে। আর এজন্যই বাজারে ছাড়া হচ্ছে ফেসবুকের শেয়ার।
ফেসবুক প্রায় ৩৩৭.৪ মিলিয়ন শেয়ার বাজারে ছাড়বে। প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়বে ২৮ ডলার থেকে ৩৫ ডলার পর্যন্ত। ফেসবুকের প্রাথমিক শেয়ারের মোট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ফেসবুক বাজারে ছাড়বে ১৮০ মিলিয়ন শেয়ার। তাদের সহযোগী অ্যাক্সেল পার্টনারস এবং ডিজিটাল স্কাই টেকনোলজিস বাজারে ছাড়বে ১৫৭.৪ মিলিয়ন শেয়ার।
আর ফেসবুকের ৫৭% মালিকানার অধিকারী অধিকারী জুকারবার্গ ছাড়বেন ৩০.২ মিলিয়ন শেয়ার। আর এই পর্যন্ত ফেসবুককে নিয়ে আসছে পরিশ্রম করার সাথে সাথে ধৈর্য ধারণ করেছেন জুকারবার্গ।
২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়িয়েছেন ফেসবুকের প্রচারণা চালাতে। আর এই প্রচারণাই ধীরে ধীরে জনপ্রিয় করে তুলেছে ফেসবুককে। প্রথম বছরেই ফেসবুকে যোগ দেয় ১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। এরপর পেপ্যালের সহ প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েলের কাছ থেকে ফেসবুকের জন্য বিনিয়োগ গ্রহণ করেন জুকারবার্গ। দুই বছরের মাথায় ২০০৬ সালে ১২ মিলিয়ন ব্যবহারকারী ফেসবুকের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মার্ক জুকারবার্গকে বরঞ্চ অর্থ, প্রতিপত্তি, খ্যাতি সব তার পিছু নিয়েছে।
Leave a comment