ইন্টারনেট হল অব ফেমে স্থান করে নিলেন ই-মেইলের স্রষ্টা
১৯৭১ সালে রে টমলিনসন প্রথম নেটওয়ার্ক ই-মেইল প্রদানের মাধ্যমে আমাদের কাছে অতি পরিচিত “@” সাইনটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করে। তার এই মূল্যবান অবদানের জন্য রেথিওন বিবিএন টেকনোলজিসের প্রকৌশলী টমলিনসনকে ইন্টারনেট “হল অব ফেম”-এর প্রথম ব্যাবহারকারী হিসেবে সম্মানিত করা হয়।
১৯৭১ সালে তিনি হোস্ট কম্পিউটারের নামের সাথে প্রাপকের নাম আলাদা করার জন্য “@” চিহ্ন ব্যবহার করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেন। টমলিনসন বলেন, “আরো সহজে এবং অধিকতর উপায়ে যোগাযোগের ব্যক্তিগত ইচ্ছাই ইমেইল উদ্ভাবনের পেছনে কাজ করেছে। আসলে আমি এমন একটি পদ্ধতি খুঁজছিলাম যেখানে বার্তা পাঠানোর সময় প্রাপককে সেখানে থাকতে হবে না। এবং প্রাপক তার সময় এবং সুবিধা মত বার্তাটি পড়তে এবং উত্তর দিতে পারবে।”
টমলিনসন সর্বপ্রথম এসএনডিএমএসজি এবং সিপিওয়াইনেট প্রোগ্রাম একত্রিত করে আর্পানেটের জন্য নেটওয়ার্ক ইমেইল অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করে। যার মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বার্তা প্রেরণ করা সম্ভব হয়। আর এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় মেইলিং অ্যাড্রেসের বিভিন্নতা বোঝানোর জন্য “@” চিহ্নটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ইমেইল সেবা চালু হয় এবং “ইউজার@হোস্ট” এর সৃষ্টি এবং এখন পর্যন্ত মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়।
এমআইটি সম্পর্কিত “ধারণা, উদ্ভাবন এবং উদ্ভাবক” হিসেবে সেরা ১৫০ জনের তালিকায় তিনি চতুর্থ স্থানটি দখল করে রয়েছেন। এছাড়া বিগত বছরগুলিতে তিনি আরও অনেক সম্মাননায় ভূষিত হন।
২০০০ সালে আমেরিকান কম্পিউটার মিউজিয়াম তাকে জর্জ আর স্টিবিৎজ কম্পিউটার পাওনিয়ার পুরষ্কার প্রদান করে। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক অ্যাকাডেমি অব ডিজিটাল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স তাকে ওয়েবি সম্মাননায় ভূষিত করে এবং রেন্সিল্যার অ্যালামনাই হল অব ফেম এ অভিষিক্ত করা হয়। ২০০২ সালে তিনি ডিস্কোভার ম্যাগাজিনের ইনোভেশন পুরষ্কার এবং ২০০৪ সালে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার ইন্টারনেট অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে তাকে প্রিন্স অব অস্টিরিয়াস অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১১ সালে এডওয়ার্ড রেইন কালাচারপ্রি কালচারাল পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।
Leave a comment