• hi

ডিভোর্সের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাস দায়ী!

hi

স্বামী তার ফেসবুকের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে বিবাহিত শব্দটি না দেওয়ায় তাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী এক ভারতীয়র স্ত্রী। এ জন্য স্ত্রী পারিবারিক আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যে বিচ্ছেদের জন্য মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আবেদনে ২৮ বছর বয়সী ওই স্ত্রী জানান, তার স্বামী ফেসবুকে তাদের বিয়ের ঘোষণা না দেওয়ায় তিনি তাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। মাত্র দুই মাস আগে পারিবারিক সম্মতিতে তারা বিয়ে করেন। আদালতে তার স্বামী নিজের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে তিনি ভুলে গেছেন। বিচারক তাদের ছয় মাসের কাউন্সেলিংয়ের জন্য সময় দিয়েছেন। গতকাল এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, হায়দরাবাদের বাসিন্দা তার স্বামী আদালতে বলেছেন, তিনি বিয়ের পর নতুন পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত ছিলেন যে, স্ট্যাটাস পরিবর্তন ও ফেসবুক চেক করার কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। তবে তার স্ত্রী বলছেন, তিনি তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে নিতে ইচ্ছুক নন। তিনি বলছেন, তার স্বামী তার অজান্তে কিছু করতে চায় এবং তিনি তাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সেখানকার আইনজীবী। আইনজীবীরা বলছেন, ডিভোর্স মামলার ক্ষেত্রে ইদানীং ফেসবুক প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফেসবুকের কারণে বিয়ে ভাঙার ঘটনা গত বছর পর্যন্ত তিনটি ঘটেছে। যেখানে ফেসবুকের অযৌক্তিক ব্যবহারকে দায়ী করা হয়েছিল। একটি ল’ ফার্ম বলছে, তারা গত দুই বছরে আচরণগত কারণে ডিভোর্সের ক্ষেত্রে ৫০ ভাগই পেয়েছে ফেসবুকের মাধ্যমে। ল’ ফার্মটির পরিচালক মার্ক কেনান বলেন, ফেসবুক মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির প্রাথমিক উৎস। এতে অনেকেই পুরনো পার্টনার খুঁজে পায় ও মেসেজ আদান-প্রদান করে। ফলে নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়। আবার অনেকে এর মাধ্যমে অ্যাফেয়ার খোঁজে। এভাবেই এটা অনেক সমস্যার উদ্রেক করছে। গত বছর আচরণগত সমস্যার পাঁচ হাজার মামলার মধ্যে ৩৩ ভাগই ছিল ফেসবুকের কারণে। ফেসবুকে স্বামী বা পার্টনারের মেসেজ ও ছবির কারণে অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। অথচ অনেক সময় এসব ছবি একসঙ্গে কোন অনুষ্ঠানের তোলা, তাও জানা হয়ে ওঠে না।


Leave a comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।


*


hi
online partners namaj.info bd news update 24 Add

Read previous post:
সেক্স এডুকেশন’ আর ‘সেক্স এক নয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি এমন একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি করছে, যারা শোবার ঘরে একেবারেই হতাশাজনক।...

Close