দাঁড়ির খুশকি থেকে মুক্তি পেতে করনীয়।
ছেলেদের জন্য একটি অস্বস্তিকর সমস্যা হচ্ছে দাঁড়ির খুশকি। চুলের মতো যদি দাঁড়ি থেকেও খুশকি ঝরতে থাকে তবে তা লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বৈকি। অনেকেই দাঁড়িতে অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যাবহার করেন যা করা মোটেই উচিৎ নয় কারন মাথার ত্বকের চেয়ে মুখের ত্বক অনেক বেশী কোমল হয়ে থাকে।
এ থেকে রক্ষা পেতে প্রথমেই যেটা করতে হবে তা হল চুলের খুশকি যাতে কোনোভাবেই মুখে ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা। চুলে যদি খুশকি থাকে তবে ঘন ঘন বিছানার চাদর ও বালিশ পাল্টালে ও ধুয়ে ফেললে তা আর মুখে ছড়াতে পারেনা। এছাড়াও আপনি আর যা যা ব্যবহার করতে পারেনঃ
- মাথার তালু, চোখের ভুরু ও দাঁড়িতে ব্যবহার করুন নিম সাবান। শুষ্ক ত্বক ও খুশকির জন্য যে সকল ছত্রাক ও ফাঙ্গাস দায়ী তা মেরে ফেলতে নিম সাবানের জুড়ি নেই।
- সবচেয়ে ভালো এবং সস্তা খুশকি প্রতিরোধক হচ্ছে লেবু। খোসাসহ লেবু অথবা লেবুর রস খুশকিআক্রান্ত স্থানে লাগান। ধীরে ধীরে খুশকির পরিমাণ কমে আসবে।
- দুধের মধ্যে ফেনুগ্রিক(এক ধরনের লতা জাতীয় গাছ) ভিজিয়ে পিষে নিন। তারপর এই পেস্ট সারা মুখে, চুলে ও মাথার তালুতে লাগান। এটা মাথা ঠাণ্ডা করবে ও খুশকি দূর করবে।
- তিন চা চামচ শিকাকাই, এক চা চামচ আমলা পাউডার, নিম পাউডার, মেহেদি, সোপনাট পাউডার, ও দই একসাথে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঘরে তৈরি অ্যান্টি ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু। এই শ্যম্পু লাগাতে পারেন চুলে, দাঁড়িতে ও চোখের ভুরুতে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
- তিতা করলা, তেতুল, অ্যালোভেরা, ও লেবু একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। মুখ ধুয়ে ফেলার পরে যদি শুষ্কভাব থাকে তবে মইশ্চারাইজার লাগান।
উপরের টোটকাগুলি কাজে লাগানো ছাড়াও এমন সাবান ব্যাবহার করবেননা যা ত্বক শুষ্ক বালিয়ে দেয়। তাছাড়া প্রতি তিন দিনে একবার শ্যাম্পু করুন এবং চেষ্টা করুন শ্যাম্পু করার অন্তত আধাঘন্টা আগে চুলে তেল লাগাতে। আশা করা যায় এরপরে দাঁড়িতে খুশকির মতো অস্বস্তিকর সমস্যা আপনাকে বয়ে বেড়াতে হবেনা।
Leave a comment