আপনি কি ভাবছেন আপনি ধোকাবাজ?
কেউ কাউকে ধোকা দিচ্ছে বললেই প্রথম যে কথাটি মনে আসে তা হলো হয়তবা সেই ছেলেটি অন্য কোন মেয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।আর এর বেশি কিছু ভাবতে চাইলে সহবাসও করছে বলা চলে।
কিন্তু ধোকা এর চেয়েও মারাত্মক কিছু হতে পারে।যদি তা হয় মানসিক ধোকা।অনেকেই অনেক সময় বুঝতে পারেন না ধোকা শব্দটা কি অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এক্ষেত্রে ছেলেরা বেশি মানসিকভাবে ভোগে থাকেন।তারা ভেবে পাননা কোন কাজটি করলে তাদের প্রেমিকা তাদেরকে ধোকাবাজ ভাববেন আর কোনটি করলে তারা ভাববে যে তিনি ধোকা দিচ্ছেন না।সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় জেনে নিন।
মেয়ে বন্ধুদের বন্ধুত্ব লুকানো
আপনার অনেক মেয়ে বন্ধু থাওক্তে পারে।আর এটা স্বাভাবিক,আপনার কাছে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।তারপরও অনেক সময় ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও আপনি আপনার বান্ধবীর কাছে তাদের কথা বলতে পারেন না।কী জানি তারা কেমন আচরণ করে এই ভেবে।হয়তবা আপনার বান্ধবী আপনার ব্যাপারে বেশ এগ্রেসিভও।আপনি হয়ত ভয় পাচ্ছেন ব্যাপারটা জানার সাথে সাথে আপনার বান্ধবী আপনার সাথে সম্পর্কের ইতি টানবেন।আর এজন্যই হয়ত আপনি একদিকে আপনার বন্ধুত্বের কথা লুকিয়ে রেখে বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটাচ্ছেন আর অপরদিকে আপনার প্রেমিকার কাছে বন্ধুদের কথা লুকিয়ে রেখে প্রেমও করে যাচ্ছেন।
এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ধোকাবাজ।কারণ আপনি আপনার প্রেমিকার আড়ালে কিছু একটা করছেন।যদিও আপনি আপনার মেয়ে বন্ধুদের সাথে শুধু মাত্রই বন্ধু তবুও।আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন একটি ব্যাপার আপনার প্রেমিকার কাছে লুকোচ্ছেন।জীবন সম্পর্কে খোলামেলা হন।আপনার প্রেমিকা আপনার জীবনের একটি অংশ।তিনি যতই খারাপভাবে ব্যাপারটা নিন না কেন আপনি এখানে কোন গোপনীয়তা রাখবেন না।জীবনে অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়।আর এভাবেই আপনি বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।
অপর কোন মহিলার সাথে গভীর সম্পর্ক
কথাটা শুনলেই মনে হতে পারে এই ব্যাপারটা অবশ্যই ধোকাবাজী।আর গভীর সম্পর্ক মানেই তো অনেক কিছু।কিন্তু আসল ব্যাপারটা ভুল।গভীর সম্পর্ক বলতেই যে সেটা প্রেম তা নয়।গভীর বলতে কথাবার্থায় গভীরতাকে বোঝানো হচ্ছে।আপনি হয়ত এমন কোন মেয়ে বন্ধু পেলেন যার সাথে আপনার নানা সমস্যাগুলো নিয়ে আলাপ করতে পারেন বেশ খোলামেলা,হতে পারে তা আপনার প্রেমিকার সাথের সম্পর্ক নিয়েও।যা হয়ত আপনি আপনার প্রেমিকার সাথে শেয়ার করতে পারেন না।অথচ আপনার ঐ বন্ধুটির সাথে পারেন।কারণ একজন মেয়েকে অপর আরেকজন মেয়েই ভালো বুঝতে পারে।
এক্ষেত্রে নিজেকে ধোকাবাজ মনে করার কারণ নেই।আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন সেই সম্পর্কে ততক্ষণ পর্যন্ত তা কেবলই বন্ধুত্ব।
ফেসবুকে কোন রিলেশনশীপ স্টেটাস না দেয়া
যদিও আপনার প্রেমিকা রয়েছে আর আপনি একটা সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ কিন্তু তারপরও আপনার রিলেশনশীপ স্টেটাস অপরিবর্তীত।আপনার বা আপনার প্রেমিকার মনে হতে পারে এতে করে কী আপনার মনে অন্য কোন মেয়ের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য এমন করছেন তাহলে তা ভুল।আপনার প্রেমিকা হয়ত আপনাকে হিংসার দৃষ্টিতে দেখছে।
এক্ষেত্রে ধারনাটি ভুল।আপনাকে কেউ জোর করছেনা সারা পৃথিবীকে তা জানাতে যে আপনি কোন সম্পর্কের বন্ধনে আছেন।ফেসবুকে অনেকেই অনেক কিছু গোপন রাখেন নিজের নিরাপত্তার জন্য।বিশেষ করে তা হতে পারে আপনার কর্মক্ষেত্রের কোন কারনে বা আপনার কোন আত্মীয় যারা সব কিছু নাক গলাতে পছন্দ করেন এমন কোন কারনে।এটা কোনভাবেই কোন ধোকার পর্যায়ে পড়েনা।এটা নিতান্তই নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো আড়াল করার বিষয়।
পুরোন প্রেমিকার সাথে লুকিয়ে দেখা করা
আপনি আর আপনার পুরোন প্রেমিকা,একজন আরেকজনের প্রতি কোনই আবেগীয় অনুভব নেই।হয়ত মাঝে মাঝে আপনাদের দেখা হয়ে গেল।কিছুক্ষণ বসে সময় কাটানো।কিন্তু ব্যাপারটা আপনি আপনার বর্তমান প্রেমিকার কাছে লুকালেন।ভাবলেন সে হয়ত ব্যাপারটা সহজভাবে নিবেনা।
এক্ষেত্রে এটি ধোকা।আপনি কেন ব্যাপারটা তার কাছে লুকোবেন যখন সেখানে কোন আবেগীয় কিছু থাকবেনা।একটা সম্পর্কে গোপনীয়তা বড় একটি ব্যাপার।যদি আপনি কোন কিছু লুকানোর জন্য নিজেকে অপরাধী মনে করেন এবং এর প্রয়োজনীয়তাও মনে করেন তবে অবশ্যই তা ধোকা।
[ ভাল লাগলে পোস্ট এ অবশ্যই লাইক দিবেন , লাইক দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই লাইক দিবেন । ]
Leave a comment