ব্রণ: শরণাপন্ন হোন ডাক্তারের
ব্রণ মেছতা টিনেজারদের কমন একটি সমস্যা। অনেকেই এ নিয়ে বিশাল চিন্তায় পড়ে যান। এটা সেটা লাগিয়ে মুখের বারোটা বাজান! এ ক্ষেত্রে আশপাশের মানুষের এটা-সেটা না শুনে শরণাপন্ন হোন ডাক্তারের।
পাইলোসেবাসিয়াস ফলিকলের ক্রনিক অকার্যকারিতাকে ব্রণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ত্বকের সাধারণ অসুখের মধ্যে বিভিন্ন ধরনে ব্রণে আক্রান্ত-রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক। এরপর মেছতা ও মুখের অন্যান্য দাগে আক্রান্তদের অবস্থান রয়েছে।
ব্রণ এবং মুখের দাগের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করা সময় সাপেক্ষ বিধায় স্বল্প খরচে এই রোগগুলোর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে আক্রান্তদের পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া মোটেও অসম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে তারা হতাশাগ্রস্থ না হয়ে প্রয়োজনীয় সময় চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হতে পারবেন।
জটিল আকার ধারণ করেনি এমন ব্রণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমে একক ওষুধ হিসেবে বেনজাইল পারঅক্সাইড বাহ্যিক প্রয়োগে সুফল পাওয়া যায়। অপেক্ষাকৃত জটিল ব্রণে ইরিথ্রোমাইসিন লোশন, ক্লিন্ডামাইসিন লোশন, রেটিনিক এসিড ও বেনজাইলপার অক্সাইড’র মধ্যে কোনো একটি ব্যবহার করা যায়।
জটিল ব্রণে বাহ্যিক প্রয়োগের ওষুধের সঙ্গে কিছু কিছু মুখে খাবার ওষুধ খেলে স্বল্প খরচে ভালো ফলাফল আশা করা যায়। এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত ব্যবহুল ওষুধ ইরিথ্রোমাইসিন টেবলেট, মিনোসাইক্লিন, ক্লিন্ডামাইসিন এবং আইসোট্রেটইনওইনও রয়েছে।
ব্রণের জন্য বিশেষ ধরনের তৈলাক্ততাবিরোধী আমদানিকৃত সাবান পাওয়া যায়। মেছতা ও মুখের অন্যান্য দাগে বিভিন্ন লাইটেনিং এজেন্ট এবং ব্লিচিং এজেন্ট পাওয়া যায়। ব্লিচিং এজেন্ট শতকরা ৮০% ক্ষেত্রে কার্যকর। এক্ষেত্রে হাইড্রোকুইনন অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে পাওয়া যায়।
মনে রাখতে হবে, মুখে যে কোনো ওষুধ লাগানোর আগে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া অত্যাবশ্যক।
যা পাবেন তাই মুখে লাগাবেন এ বদঅভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
[ ভাল লাগলে পোস্ট এ অবশ্যই লাইক দিবেন , লাইক দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই লাইক দিবেন । ]
Leave a comment