দুধ খেলে ওজন কমে!
ওজন বেড়ে গেছে? কতই না টেনশন এ নিয়ে, আজ জিমে যাওয়া নয়ত রাতের খাবার পরিত্যাগ করা, কেউবা আবার সকাল সন্ধ্যা জগিং ও করেন। বেশী ওজন যাদের রয়েছে তাঁদের জন্য সুখবর। যাঁরা নিয়মিত দুধ পান করেন, তাদের ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন দুই গ্লাস করে দুধ পান করলে ছয় মাসের মাথায় তাঁর শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি জমা হয়। এভাবে দুধ খাওয়া অব্যাহত রাখলে দুই বছর পর তিনি প্রায় ছয় কেজি ওজন কমাতে পারবেন। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন নামের সাময়িকীতে প্রকাশিত ইসরায়েলের ‘বেন-গুরিওন ইউনিভার্সিটি অব দ্য নেজেবের একদল গবেষকদের এমনই এক সমীক্ষা এ দাবি করে। এই সমীক্ষায় ইসরায়েলের তিন শতাধিক অতিরিক্ত ওজনের ৪০ থেকে ৬৫ বছর বয়স্ক নারী-পুরুষ অংশ নেন। তাঁরা দুই বছর ধরে কম চর্বিযুক্ত খাবার খেয়েছেন। এই ধরনের খাবার ছাড়া যেসব নারী-পুরুষ প্রতিদিন প্রায় দুই গ্লাস করে উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত দুধ পান করেছেন, তাঁদের ওজন দুই বছর পর ছয় কেজি কমে গেছে। অন্যদিকে, যাঁরা প্রতিদিন আধা গ্লাস করে কম ক্যালসিয়াম যুক্ত দুধ খেয়েছেন, তাঁদের ওজন দুই বছর পর কমেছে সাড়ে তিন কেজির মতো।
গবেষক দলের নেতা দানিত শাহার বলেছেন, ক্যালসিয়াম ছাড়াও শরীরে ভিটামিন ডির উপস্থিতিও ওজন কমাতে সহায়ক। দুধ ও দুধে তৈরি খাবারে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। তার পরও বহু মার্কিন নাগরিক নিয়মিত ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাচ্ছেন না বলে বার্তা সংস্থা আইএএনএসের খবরে জানানো হয়।
Leave a comment