ইন্টারভিউ কক্ষে দেহের অঙ্গভঙ্গির প্রভাব
নতুন চাকরির জন্য যাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের কাছে ইন্টারভিউ আতঙ্কের বিষয়। এ নিয়ে প্রস্তুতি যাই থাক না কেন, অঙ্গভঙ্গি সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তি এড়িয়ে যেতে হবে। দেহের কিছু ভাষা রয়েছে, যা ইন্টারভিউয়ে প্রকাশ করতে নেই। আবার কিছু আচরণের প্রকাশ ঘটাতে হয়। এখানে ইন্টারভিউয়ে অঙ্গভঙ্গির প্রভাব সম্পর্কে ধারণা নিন।
১. চোখে চোখ রাখুন :
প্রার্থী হিসেবে প্রশ্নকর্তার যাবতীয় কথায় মন দেওয়া আপনার গুরুদায়িত্ব। তাই আপনার বিপরীতে যাঁরা বসবেন তাঁদের চোখে চোখ রাখুন। এর অর্থ আপনি তাঁর বক্তব্য মন দিয়ে শুনছেন।
২. মিষ্টি হাসি দিন :
মুখের হাসি সব সময় ভালো কিছু বয়ে আনে। সঠিক সময়ে সঠিক পরিবেশে একটু মিষ্টি হাসি দিন। হাসির বিনিময়ে আপনার কোনো ভুলও তাঁরা ক্ষমা করে দিতে পারেন।
৩. স্নায়ুচাপে ভুগবেন না :
একটা মানসিক চাপ থাকবেই। কিন্তু বিশেষ অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তা প্রকাশের দরকার নেই। প্রশ্ন শুনেই ছাদের দিকে তাকিয়ে চিন্তা করতে থাকবেন না। মুখের কথা আটকে যাওয়া, ঘেমে ওঠা বা দৃষ্টিকটু কোনো আচরণ করবেন না।
৪. চেয়ারে গা এলিয়ে দেবেন না :
কোনো অবস্থায় চেয়ারে হেলান দিয়ে বসবেন না। এতে করে আপনি হাল ছেড়ে দিয়েছেন বা অলসতা কাজ করছে-এমন একটা ভাব চলে আসবে। এমন ভঙ্গি কর্তৃৃপক্ষ ভালো চোখে দেখে না।
৫. বুকে আড়াআড়ি হাত নয় :
নিজেকে সংকুচিত করে আনার প্রয়োজন নেই। বুকের ওপর দুই হাত আড়াআড়ি করে বাঁধবেন না। হাত দুটি চেয়ারের দুই পাশের হাতলে রাখুন। বুকে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় চাকরিপ্রার্থীকে মানসিকভাবে দুর্বল প্রকৃতির মনে হতে পারে। তা ছাড়া এতে গা বাঁচানো একটা ভাব থাকে যা কর্তৃপক্ষ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন।
৬. চুলে হাত নয় :
কথা বলতে বলতে অভ্যাসবশত চুলে হাত দেবেন না। হাত দিয়ে চুল আঁচড়ানো এবং চুল টানাটানি করা অসদাচরণ বলে গণ্য হয়।
৭. বলার সময় হাত নাড়াবেন না :
এটা বন্ধুর আড্ডা নয় যে হাত-পা ছুড়ে নিজের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইন্টারভিউয়ে ভুলেও হাত নেড়ে কথা বলবেন না।
৮. অতিমাত্রায় বন্ধুত্বসুলভ হবেন না :
প্রশ্নকর্তার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের আভাস থাকতে পারে। এতে আপনার অস্বস্তি ঘুচবে। কিন্তু এর বিপরীতে আপনিও তাঁর সঙ্গে অতি বন্ধুত্বপরায়ণতা দেখাতে যাবেন না। সেখানে আপনি একজন চাকরিপ্রার্থী ছাড়া আর কিছুই নন। কাজেই কারো বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
৯. হাই তুলবেন না :
খুবই দৃষ্টিকটু বিষয়। ইন্টারভিউ গ্রহণকারীরা মনে করতে পারেন, আপনার ঘুম পেয়েছে অথবা এই পরিবেশে বিরক্তিবোধ করছেন। তাই ক্লান্তি দূর করতে আগের দিন রাতে গভীর ঘুম দিন এবং সকালে চর্বিযুক্ত নাশতা এড়িয়ে যান।
Leave a comment